জটিল সংখ্যাঃ
x ও y বাস্তব সংখ্যা হলে z= x+iy আকারের রাশিকে জটিল সংখ্যা বলে। যেখানে,
x=বাস্তব অংশ
y=কাল্পনিক অংশ
i=কাল্পনিক সংখ্যা
x+iy আকারের জটিল সংখ্যার ক্রমযুগল (x,y)
i সম্পর্কিত আলোচনা :
i2 =-1
i = √ -1
√i = +- 1/√2(1+i)
√-i= +- 1/√2(1-i)
i এর বিভিন্ন ঘাতের জন্য i এর মান :
# i3= – i
এখানে, i3= i2.i এবং i2=-1
তাহলে i3=-1.i = -i
# আবার,
i4= 1
i8= 1
i12=1
এখান থেকে বলা যায় i এর ঘাত চারের গুণিতক হলে তার মান 1 হবে।
# i এর পাওয়ার আস্তে আস্তে বাড়লে বারবার i কে ভেঙ্গে তার মান বের করা কষ্টসাধ্য, তাই এখানে একটা ছোট্ট ট্রিক ফলো করবো আমরা।
এখানে i এর পাওয়ারকে চার দ্বারা ভাগ করলে যেটা ভাগশেষ আসবে তাই i এর পাওয়ার হবে।
যেমন, i7= -1
এখানে 7 কে 4 দ্বারা ভাগ করলে ভাগশেষ 3 আসে এবং i3=-1 তাই i7= -1 ।
#i এর পাওয়ার কে 4 দ্বারা ভাগ করলে এবং ভাগশেষ না থাকলে i এর পাওয়ার সহ পুরোটার মান 1 হবে। যেমন, i16= 1। এজন্যই বলা হয়ে থাকে i এর ঘাত চার এর গুণিতক হলে তার মান 1 হবে।
i সম্বলিত ধারার যোগফল :
# i+i2+i3+i4=0
কারণ, i+(-1)+(-i)+( -12)=0
এখানে বলা যায় i এর পাওয়ার পরপর চারটি ক্রমিক সংখ্যা হলে তাদের যোগফল শূন্য হবে।
# 1++i2+i3…..+i202= i
কারণ,
পদ সংখ্যা = [(শেষের পদের ঘাত-প্রথম পদের ঘাত)/1]+1
পদ সংখ্যা কে 4 দ্বারা ভাগ করলে যত ভাগশেষ থাকে ততটি পদ বাকি থাকে। প্রথম থেকে ততটি পদকে উত্তর ধরা হয়।
এখানে পদসংখ্যা = [(202-0)/1] +1 = 203
203 কে 4 দ্বারা ভাগ করলে ভাগশেষ 3 থাকবে।সুতরাং শুরুর তিনটি পদ উত্তর হবে।
1+i+i2= 1+i -1=i
#
কোন সংখ্যাকে i2 দ্বারা গুন করলে সেটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে 2π/2 কোনে ঘুরে যায়।
কোন সংখ্যাকে i3 দ্বারা গুন করলে সেটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে 3π/2 কোনে ঘুরে যায়।
কোন সংখ্যাকে in দ্বারা গুন করলে সেটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে nπ/2 কোনে ঘুরে যায়।