একে ভ্রাম্যমাণ প্রতিরক্ষা কারী একক ও বলা হয়। এটি হিমোগ্লোবিনবিহীন, অনিয়তাকার ও নিউক্লিয়াস যুক্ত রক্তকনিকা। পরিনত সুস্থ মানুষের মাত্র ১% WBC থাকে।
লোহিত কনিকা ও শ্বেতকনিকার সংখ্যার অনুপাত ৭০০ঃ১ / ৫০০ঃ১
অস্বাভাবিকতা :
- স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে লিউকোসাইটোসিস বলে
- আর কম হলে লিউকোপেনিয়া বলে।
- শ্বেতরক্তকনিকার ক্যান্সারকে লিউকেমিয়া বলে।
WBC এর ২প্রকার
- গ্রানিউলোসাইট /দানাদার ; যা আবার ৩প্রকারের, যথা-
a.নিউট্রোফিল
b.ইউসিনোফিল
c.বেসোফিল - অ্যাগ্রানিউলোসাইট /অদানাদার ;যা আবার ২প্রকারের, যথাঃ
a.মনোসাইট
b.লিম্ফোসাইট (B – লিম্ফোসাইট ; T -লিম্ফোসাইট)
নিউট্রোফিল:
- রক্তে সবচেয়ে বেশি থাকে নিউট্রোফিল। প্রায় (৬০-৭০%)।
- আয়ু-২-৫ দিন
- গঠন – ২-৫ খন্ডকবিশিষ্ট নিউক্লিয়াস, গোলাপি সাইটোপ্লাজম
কাজঃ
- এটি অ্যামোবয়েড চলনে সক্ষম যা ডায়াপেডেসিস নামে পরিচিত।
- ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণু নষ্ট করে।
ইউসিনোফিল:
গঠন : ২-৩খন্ডকবিশিষ্ঠ নিউক্লিয়াস, নীলাভ সাইটোপ্লাজম, লালচে কমলা রঙের দানাযুক্ত
- বেশি থাকে পৌষ্টিকনালিতে
আয়ু: ৫দিন
কাজ :
- অ্যালার্জি প্রতিরোধ
- Schistosoma,Trichinella প্রভৃতি কৃমির লার্ভা ধংস করে।
বেসোফিল:
গঠন : ২খন্ডকবিশিষ্ট নিউক্লিয়াস, নীলচে কালো রঙের দানাযুক্ত। সবচেয়ে কম দানাদার শ্বেতকনিকা হলো বেসোফিল
আয়ুঃ ১২-১৫দিন
কাজ:
- হেপারিন তৈরী করা যা রক্তনালির ভেতরে রক্তজমাট রোধ করে
- হিস্টামিন ক্ষরণ করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মনোসাইট:
- এটি সবচেয়ে বড় শ্বেতরক্তকনিকা, যা মনোব্লাস্ট থেকে উৎপন্ন হয়। এটা দেখতে বড় বৃক্ক বা অশ্বক্ষুরাকৃতি মতো।
- প্রায় ২৮০টা এর মতো থাকে।
কাজ:
- একে প্রাকৃতিক ধাঙর বলা হচ্ছে কারণ এটা ফ্যাগেসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণু নষ্ট করে প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে কাজ করে।
লিম্ফোসাইট:
এটা হচ্ছে ২য় বৃহওম কনিকা। যা গোল, অখন্ডায়িত।
আয়ুঃ ৭দিন
কাজ:
- অ্যান্টিবডি উৎপাদন
- T কোষ ভাইরাস ও ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ নষ্ট করে